বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১২

জীবনের গল্প

  রোকনুজ্জামান রাকিব 

                একজন তাহরিয়ার গল্প

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগে ঢুকতেই কথা হলো বিভাগের শিক্ষক মোস্তাক ইবনে আইয়ুব স্যারের সাথে।মেয়েটির কথা জানতে চাইলেই তিনি বললেন সে এখন মলিকুলার বায়োলোজি বিভাগের ল্যাবে গবেষনা নিয়ে ব্যস্ত।অবশেষে মলিকুলার বায়োলোজি ল্যাবে গ্লাভস হাতে দাড়িয়ে আছে মেয়েটি ।মেয়েটি এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া পদক বিজয়ী জীন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্রী তাহরিয়া নাজনীন শ্রাবনীর । আর সেখানেই জানালার পাশে বিকেলের আলোয় বসে গবেষনার ফাকে জানালেন তার সপ্ন আর সাফল্যের কথা।

গভীর স্পৃহা,সীমাহীন মনোবল এবং নিরলস শ্রম দিয়ে তাহরিয়া জয় করে নিয়েছে একাডেমিক ফলাফল ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে দেওয়া রোকেয়া স্বর্ণপদক । দ্বীপজেলা ভোলার মেয়ে তাহরিয়া ছোটবেলায় শহিদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল থেকে এস,এস,সি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পাস করার পর যথারীতি মা বাবার সপ্ন ছিল মেয়েকে ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার বানাবে।সে সপ্ন হাতছানি দিয়ে গেলেও অবশেষে ভর্তি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগে।আর এখানে এসেই বুঝলেন গবেষণার মজা ।একাডেমিক পড়াশোনার, ক্লাস ল্যাব আর লাইব্রেরির পাশাপাশি এখানে এসেই শুরু হলো বায়োজেন নামক ম্যাগাজিনে লেখালেখি।আর ডিপার্টমেন্টের সাংস্কিৃতিক অনুষ্ঠান হলে তো কথাই নেই সবাইকে সংগঠিত করার দায়িত্বটাও ঠিকঠাক করে ফেলতেন তাহরিয়া।সর্বশেষ জীন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের ১০ বর্ষপুতি অনুষ্ঠানের ছিলেন একজন সফল আহবায়ক।এমনি করে চারটি বছর পার করে ৩.৮৭ সি,জি,পি,এ নিয়ে অর্জন করলেন প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান।আর সাথে শিক্ষাজীবনের সীকৃতি স্বরুপ একটি সেরা পুরস্কার।খুব সম্ভব উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথওয়েলস ইউনিভার্সিটিতে পাড়ি দিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এই তরুণী।আর দেশে ফিরে হতে চান আগামীদিনের একজন সফল বিজ্ঞানী।
Print this post

1 টি মন্তব্য:

  1. একজন তাহরিয়ার গল্প' শীর্ষক লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
    অভিনন্দন লেখককে।

    উত্তরমুছুন