রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১২

I SAW THAT FAIR A LADY IN WHITE

 এস. কে. দোয়েল

কাননের ঠিক গোলাপটির মত মেয়েটি হবে। চমৎকার হবে সেই মেয়েটি, যার গায়ের রং হবে ফর্সা এবং হালকা গোলাপী মিশ্রিত সাদা। গোলগাল মুখ;দু’চোখে যাদু টানা দৃষ্টি, ঠোঁটযুগল রক্ত লাল গোলাপী লিপিষ্টিক এর মতো রং। কোন ক্যামিকেল থাকবেনা, ও দু’টো ঠোঁটে, প্রয়োজন হবে না কোন লিপিষ্টিকের। এমনকি এরকম কোন আকর্ষণ করার মত পালিশ। যেতে হবে তাকে কোন বিউটি পার্লারে, প্রয়োজন হবে কোন রুপচর্যার দক্ষ বিউটিশিয়ান। কোন মেকআপ ছাড়াই তাকে লাগবে অসম্ভব সুন্দরী। তাকে দেখলে মনে হবে সে কি এই মাত্রই
কোন রুপের মঞ্জিল থেকে বের হয়ে এলো!


হ্যাঁ মেয়েটি খুব চমৎকারই হবে। তার পুরো আপাদমস্তক এমন রুপ মাধুর্য়্যে ভরা থাকবে, যা কোন শিল্পী এরকম কোন ছবি আদো আর্ট বা অঙ্কন করেন নি। সে নিজেই তার তুলনা। সৃষ্টিকর্তা তাকে অতি নিপুনতায় সৌন্দর্য বিলাসে সৃষ্টি করেছেন। যিনি এই মেয়েটিকে দেখেছেন তিনি একজন মননশীল শিল্পী এবং তার চোখ দুটি অনবদ্য সুন্দর আর তিন্নি সুন্দর উপমায় কথা বলতে পারেন। আমি তাঁর ছাত্র ছিলাম এবং খুব কাছের অতি কাছের। তিনি বললেন, ন্যাশনাল বার্ড-তোর জন্য একটি বাক্য রয়েছে। বললাম বলবেন, কি সেটা এমনকি বাক্য? আমি ডায়েরীটা এগিয়ে দিলে তিনি লিখলেন,
“I saw that fair a lady in white for you only for your”
তিনি আরও লিখলেন-You will get a fair lady in your life. বাক্য দু’টির বঙ্গানুবাদ করতে তিনি সময় দিলেন একমাস। আমি সানন্দে রাজি হলাম। যদিও বাক্য দু’টির অর্থ আমি জানি,তবুও মনে মনে ভাবলাম এটা দিয়ে একটা গল্প হতে পারে।

তিনি দেখলেন মেয়েটি হেটে আসছে। গায়ে লাল কামিজ,তার দু’চোখে তার মুখের অবয়বের মানানসই চশমা। খুব সুন্দর মানিয়েছে চশমাটায় মেয়েটি। লম্বায় পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। যা তিনি তার সাথে একজন সঙ্গী যোগ করলেন। দেখলেন কেমন মানায় দু’জন দু’জনকে। কেমন একটা উচ্ছ্বাস স্বরে বলে উঠলেন-“How niece’s very wonderful” তিনি কি জানেন, ছেলেটির সাথে মেয়েটির কী সম্পর্ক? কখনো কি তদের দু’জনের মধ্যে দাম্পত্য জীবন গড়ে উঠবে? তিনি না জানলেও এ্যাডজাষ্ট করার চেষ্টা করছেন। হয়তো হতে পারে ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে, নয়তো না হতে পারে। তবু তিনি চিন্তা করছেন দু’জন দু’জনকে খুব ভাল মানিয়েছে। তিনি মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন। তিনি চৌরাস্তার একটি দোকানে বসে দেখতে লাগলেন ছেলেটির সাথে মেয়েটির। তারা হাঁটতে হাঁটতে তেতুলতলায় এসে দাঁড়াল। মুখোমুখি দুটি চোখ মিলিয়ে চার চোখে প্রেমাচ্ছল দৃষ্টি। দু’জনে হেসে উঠলো কোন কথায়। তার সাথে তিনিও হেসে উঠলেন।
ন্যাশনাল বার্ড মেয়েটি ভারি চমৎকার তো! মাথায় দীঘল কালো কেশ। মুখচ্ছবি দেখলে মনে হচ্ছে এই মাত্র গোলাপটি ফুটলো। নতুন করে জন্ম হল তার। পূণ্য যৌবনা। অপরুপ তার মায়াবি দুধরাঙা সর্বাঙ্গ শরীর। যেন তার শরীর থেকে রুপের জৌলশ বিন্দু বিন্দু শিশির কনার মত ঝরছে।

তাকে দেখে মনে হবে প্রবাল রত্ন এক ইয়াকুত। তিনি কি মনে করে যেন সুরা সাফফাতের ৪৯নং আয়াতটি পড়লেন। তার অর্থ ছিল এই
“ তাদের নিকট থাকবে আন্তময় তরুণীগন যেন সুরক্ষিত ডিম”
কথাটি কী তিনি আবেগে বলে ফেললেন। কি রুপ আছে ঐ মেয়েটির মাঝে যে, তিনি কবি জীবনান্দ দাশের বনলতার রুপ লাবন্যের কথা বলতেও বিলম্ব করলেন না।
বুঝতে পারলাম তিনি জীবনান্দদাশের বনলতার ভক্ত। চৌকুষ একজন মনন শিল্পী। রংতুলি ছাড়াই বিস্ময়কর ছবি আঁকতে পারেন। সুন্দর উপমা, মন সাজানো শব্দ-বাক্য। ভাষায় শৈলীতে তার যথেষ্ঠ দক্ষতা আছে বলে আমার থারণা। তিনি যে সত্যি উপমায়,বর্ণনায় আর বাচন ভঙ্গিতে শিল্প ব্যবহার করেন তাতে সন্দেহ নেই। যা সবাই পারে না।

তিনি আবার বলতে শুরু করলেন। এখন তিনি সেই মেয়েটির কি রুপের বর্ণনা করবেন তা আমার বোধগম্য নয়। আমি ভাবছি আমার কবিতা কেমন হবে। তিনি যা বর্ণনা করলেন তা কি সত্যি সত্যি ঘটবে। আর তাকে কি আমি সত্যি সত্যি পাব। যার জন্য হয়তে অপেক্ষা করছি দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আর বছরের পর বছর। যাকে নিয়ে আমার যৌবন বসন্তে সকল চিন্তাধারা, ভালবাসার মোহে রাত জেগে কবিতা লেখা, নৈশব্দে তাকে নিয়ে স্বপ্ন ভূবনে ভাবতে ভাবতে রাত পেরিয়ে ভোরের উদিত সূর্য দেখা। তিনি কি বুঝতে পারছেন আমার পছন্দের মেয়েটি কেমন হবে!

আমি তাঁকে বললাম, আমার এখন কবিতার প্রয়োজন। জীবন সাথীর প্রয়োজন। সময় কাটেনা; রাতে শূণ্যতা মনে হয়। বিছানায় শয়ন করলে দু’চোখ এক হয় না। আমার পাশে এমন একজনের প্রয়োজন যা আপনাদের জীবনে রয়েছে। আমি বলিনি আমার প্রাণতম প্রিয়ার এই মুহুর্তে দরকার। তিনি বললেন, “I saw that fair a lady in white” আমার বিশ্বাসই হচ্ছে আমার পাশে বসা আমার শিক্ষক মানুষ না রোবট! এই একটি বাক্য আমাকে এতটা তাড়া করছে কেন? আর রাতে ঘুম হারাম করে দিচ্ছে কেন? আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কবি জীবনান্দদাশের বনলতার মতো। যে কবি হাজার বছর পৃথিবীর পথে পথে ঘুরতে এক সময় বনলতার সানিধ্য পায়। আমারও কি এরুপ অপেক্ষা করতে হবে?
আমার উদিগ্নতায় থাকতে দেখে মানুষ নামক রোবট আবার বলে উঠলেন- “You will get a fair lady in your life.” সত্যি কথাটা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছে, আর এক অদ্ভূত ঘোরে আমাকে ভিতর থেকে কে যেন বলাচ্ছে-“Where he fair Lady? I want see he at soon. I am thinking now really he will be very wonderful dream fair Lady. Now I’m Waiting for his, when he come with my life and when my dream will be Successful.

আমি বলিনি তিনি কে, কে এই মননশিল্পী, তার সাথে আমার কি সম্পর্ক? আসলে তিনি আমার জীবনের মুকুট। আমার জীবনের অন্যতম প্রথম সারির তালিকার একজন। যার সাহচর্যে আজ আমার বিদ্যাবাস, লেখালেখির জন্য কলম ধরতে পেরেছি। কলম চালিয়ে যাচ্ছি। কলমের ভাষায় মনের কথাগুলো বলার সুযোগ পাচ্ছি। তিনি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-গুরুজন। আলোর পথে দিশারী, যার আলোয়র ছোঁয়ায় আজ আমাকে পাঠক মহল চিনতে পারছেন একজন একুশ শতাব্দীর তরুণ লেখক হিসেবে। আরেকদিকে তিনি আমার দুলাভাই। যেহেতু তিনি আমার একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও অন্যদিকে সম্পর্কে দুলাভাই সেকারণেই হয়তো আমার ডায়েরীতে লিখলেন-Don’t think National Bird, I saw that fair a lady in white of course he will be choice you.
Print this post

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন