এস.কে.দোয়েল


এই সেই নগরী

[ব্লগার হেমন্ত-হিমালিয়া অনুরোধে কবিতটি রিপোষ্ট]

এই সেই নগরীর পথ ধরে হেটে যেত কবি
কাধে ঝুলানো ছিল পাটের ব্যাগ,
চোখে সান গ্লাস,একটা ফ্রেম ছিল খানিকটা ভাঙা
মাথায় অগোছালো চুল,কতকাল পড়েনি চিরুনীর আচর।

এই সেই নগরীর পাশে বয়ে যাওয়া নদী মহানন্দা
পাশে চা বাগান বেষ্টিত ভারতের তারকাটা বেড়া
কবি বসে যেত সময় কাটাতে সূর্যডোবা ঘন সন্ধ্যায়
জোনাকির আলোর অপেক্ষায় সন্ধ্যা কাটিয়ে দিত কবি।

এই সেই নগরীর পাশ ঘেরা সবুজ জমিন
রাস্তার দু’ধার ঘিরে বৃক্ষের শোভা,
কবির নায়িকা নীল শাড়িতে পড়ে হেটে যেত এই সেই পথে
কবির পান্ডুলিপির এক সোনালি পৃষ্টায় ছবিটা পিন আপ ছিল।

এই সেই নগরীর অনতি দূরে শিশু গাছ,
এখানে বসে গল্পে কেটে যেত সময় কবির।
সেইসব সময় গেঁথে আছে কবির মানস স্মৃতিপটে
কফি হাউজের আডডাটা মান্না দে’র সাথে কবি সূর করে আজও।

স্মৃতিরা ভেসে বেড়ায় ভাসমান মেঘের মতো
সময় চলে যায় নদী বয়ে যায় পৃথিবীর বয়স পেরিয়েছে কত
কবি জানেনা আজ একুশ শতাব্দীতে এসে মানুষ পাল্টিয়েছে কত
এই সেই নগরীতে তখন যা ছিল আজ তা নেই,
আজ যা আছে কাল তা থাকবে না,
প্রতিনিয়ত ঘুরে দাঁড়াবে পৃথিবী প্রযুক্তির ঝংকারে।
[এখানে অনেক কিছুই ছিল কাব্যগুচ্ছের একটি কবিতা]

Print this post